মারাঠি ভাষায় কথা বলতে বাধ্য করে রীতিমতো চড় মারা হয় তাঁকে। চড় মারতে মারতে তাঁকে সবক শেখানো হয় মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে ব্যবসা করতে গেলে কী করা উচিত। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। রাজ ঠাকরের এই দলের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে তিনি জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, অবশ্যই মারাঠি ভাষাকে সম্মান জানাতে হবে। কিন্তু তার জন্য একজনকে মারধর করা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এই ধরনের গুণ্ডামিকে সমর্থন করা যায় না বলে জানিয়েছেন দেবেন্দ্র। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও মুখ খুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - Post Poll Violence: ভোটের পরে নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার, যাবজ্জীবন সাজা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের
ঠিক কী ঘটেছে?
বছর আটচল্লিশের বাবুলাল চৌধুরী মুম্বইয়ের মীরা রোডে যোধপুর সুইট শপ নামে একটি দোকান চালান। হঠাৎ করেই এক সকালে তাঁর দোকানে সাতজনের একটি গ্যাং ঢুকে পড়ে। তাঁকে দোকানের ভিতরেই চরম অপদস্ত করা হয়। যখন ওই ব্যবসায়ী বলেন, মহারাষ্ট্রে সব ভাষাতেই কথা বলা যায়, তখন তাঁকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। চড় মারতে মারতে ‘শেখানো’ হয় কেন মারাঠি ভাষায় কথা বলা বাধ্যতামূলক। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাঁর দোকান তুলে দেওয়ার শাসানি দেওয়া হয়। মারাঠি ভাষায় কথা না বললে তাঁর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ওই দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন - বিবাহিত জীবন কতদিন টিঁকবে? উত্তর লুকিয়ে এই রেখার গভীরে
দুষ্কৃতীদের পাশে রাজ ঠাকরের দল
তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের পাশেই দাঁড়িয়েছে তাদের দল এমএনএস। এমএনএস-এর প্রধান নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা হল মারাঠি ভাষা নিয়ে গর্ব। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দোকানদার মারাঠি ভাষার অবমাননা করেছিলেন। তাই তারা এই ‘প্রতিক্রিয়া’ জানিয়েছেন। তবে এমএনএস কর্মীদের এই পদক্ষেপকে পরোক্ষভাবে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগেশ কদমও সমর্থন করেছেন। তাঁর কথায়, মারাঠি ভাষাকে অসম্মান করলে যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।