মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যু। নজর ঘোরানোর খেলা বরদাস্ত করবেন না। বাস্তবটা জানুন। লিখলেন কুণাল। তবে কুণালের এই পোস্টের পরে পালটা দিয়েছেন নেটপাড়া। এক নেটিজেনের জবাব, খেলাটা বরং আপনি বা আপনারা ঘোরাচ্ছেন না তো!
মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও স্যালাইনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবার এনিয়ে লিখলেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল লিখেছেন, মেদিনীপুর প্রসূতির মৃত্যু।
বিভ্রান্তি আর নজর ঘোরানোর খেলা বরদাস্ত করবেন না। বাস্তবটা জানুন।
সূত্রের খবর:
1) যে তিনজন সিনিয়র ডাক্তারের ওটি করার কথা ছিল, তাঁরা ছিলেন না। এঁদের মধ্যে একজন বিভিন্ন প্রাইভেট নার্সিংহোমে ওটি করে বেড়ান।
2) অ্যানাসথেসিয়া বিশেষজ্ঞও ছিলেন না। একজন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি কাজটা করে।
3) দুজন থার্ড ইয়ার পিজিটি ওটি করে। সাহায্য করে ইন্টার্ন।
4) কাঁচা হাতে অ্যানাসথেসিয়া দেওয়ার সময় থেকেই সমস্যা শুরু। পরে সামলাতে গিয়ে জটিলতা বাড়ে। বেগতিক দেখে এর সিনিয়রকে খবর পাঠানো হয়। ততক্ষণে সব জটিল।
5) ধামাচাপা দেওয়ার তাড়াহুড়োয় একই সময়ে একই ডাক্তার পাশাপাশি দুই টেবিলে দুটো ওটি দেখিয়ে ফেলেছেন রেকর্ডে।
6) প্রসূতি এরপর যখন অসুস্থ হন, এঁরা তাঁর টিকিটে বিস্তারিত রেকর্ড করেনি।
এরপর গোটা কেলেঙ্কারি চাপতে স্যালাইন ও অন্যান্য দিকে নজর ঘুরিয়ে সরকারবিরোধী প্রচার করানো হচ্ছে। স্যালাইনে কোনো ত্রুটি থাকলে প্রমাণিত হোক সেটাও। কিন্তু তা দিয়ে যেন আসল কান্ড আড়াল না করা হয়।
আশা করি তদন্ত রিপোর্টে ডাক্তারদের কয়েকজনের এই ভয়ানক কীর্তি উঠে আসবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের যথাযথ শাস্তি হবে।
এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের জবাবে এক নেটিজেন লিখেছেন, খেলাটা বরং আপনি বা আপনারা ঘোরাচ্ছেন না তো! সরকারি হাসপাতালে জাল ওষুধের কালো কারবার। হাসপাতালের সামগ্রী কেনায় অর্থনৈতিক গরমিল, মানুষকে নিম্নমানের ওষুধ দেওয়া, হাসপাতালে দালালচক্র, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী, যথেষ্ট ডাক্তার বা নার্স না থাকা ইত্যাদি থেকে নজর ঘোরানোর খেলা??
অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, বলতে লজ্জা করেনা? যাদের ওটি করার কথা ছিল তাঁরা ছিলেন না। অ্য়ানাসথেসিস্ট ছিল না। এই না হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় নীলসাদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সিপিএমের দেখানো পথে শিক্ষা থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থা চিকিৎসা থেকে শিল্পক্ষেত্রকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বেকাররা কাশ ফুলের বালিশে ঘুমোচ্ছে।