ম্যাচ হেরে মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষকে চড় মারলেন ১৫ বছর বয়সী টেনিস খেলোয়াড়!

শুভব্রত মুখার্জি: খেলার মাঠ সাক্ষী থেকেছে বিভিন্ন বিরল ঘটনার। তবে ঘানার এক টেনিস কোর্টে ম্যাচ শেষের পরে যে ঘটনা ঘটল তা হয়ত ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা হয়ে থেকে যাবে। আইটিএফ আয়োজিত জুনিয়র টেনিস প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল ঘানার একরা শহরে। সেই টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই ১৫ বছর বয়সি ফরাসি টেনিস খেলোয়াড় মিচেল কোয়ামে ম্যাচ তো হারলেন সঙ্গে সঙ্গে মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষ ঘানার রাফায়েল নি আকরাকে কষিয়ে দিলেন এক চড়। আর তারপরেই কোর্টের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে দুই খেলোয়াড়।ঘটনা ক্রীড়াজগতে এতটাই বিরল যে সচরাচর গুরুত্বহীন এক ম্যাচ জায়গা করে নিল সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় প্রথম সারির সংবাদপত্রের শিরোনামে। ফ্রান্সের ১৫ বছরের এক টেনিস খেলোয়াড় এমন কান্ড কোর্টেই ঘটিয়ে বসলেন যে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল ইতিমধ্যেই। যে কেন ম্যাচে হার জিত আছেই। রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল বা নোভাক জকোভিচের মতন তারকাদেরও কোর্টে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ব্যর্থতাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। একটা ম্যাচ হেরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলানোর অছিলায় এসে তাঁকে এইভাবে ঠাঁটিয়ে চড় মারার কান্ডে হতবাক সকলে। দর্শক আসনে বসে কয়েকজন সেই ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করে পোস্ট করে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনার পর দুই খেলোয়াড় জড়িয়ে পরেন হাতহাতিতে। তবে একটা বিষয় ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তা হল মাত্র ১৫ বছর বয়সে এমন কান্ড ! ম্যাচ হারের ধাক্কা সামলাতে না পেরে এমন কান্ড কীভাবে ঘটাতে পারলেন মিচেল কোয়ামে। কীভাবে হল এত সাহস? না পুরোটাই ম্যাচ হারার রাগ বা হতাশা থেকে? নাকি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের খেসারত দিতে হয়েছে কোয়ামেকে?ঘানাতে অনুষ্ঠিত আইটিএফ জুনিয়র টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন ফ্রান্সের শীর্ষবাছাই মিচেল কোয়াম ও ঘানার রাফায়েল নি আকরা। ম্যাচের প্রথম সেটেই হেরে পিছিয়ে পড়েন মিচেল। দ্বিতীয় সেট যদিও টাইব্রেকারে জেতেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় সেটে ফের হারতে হয় শীর্ষ বাছাই খেলোয়াড়কে। ফলে ম্যাচে কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যান কোয়ামে। হারের ধাক্কা সামলাতে না পেরেই ম্যাচ শেষে কোর্টের মাঝে দাঁড়িয়ে হাত মেলানোর বদলে প্রতিপক্ষ ঘানার রাফালেয়কে দিলেন ঠাঁটিয়ে চড়। এই চড়ের পরই শুরু হয় অশান্তি। মিচেলের ওপর পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করেন রাফায়েল। আর তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন তাঁর কোচ। সেই সুযোগে কোর্ট ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন মিচেল। বিভিন্ন মহল থেকে মিচেলের শাস্তির দাবি উঠেছে।