২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের কাঁধে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই সামনে আসে নানা দুর্নীতির তথ্য। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ–সহ অনেক শিক্ষা দফতরের অফিসাররা গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু গ্রেফতার করে চার্জশিট জমা দিলেও সেখানে থেকে গিয়েছে বিস্তর ফাঁক।
বাড়ছে সিবিআইয়ের সিটের অফিসারের সংখ্যা।
শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু পাচার করার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই আইনজীবীরা এখন প্রায়ই আদালতে ভর্ৎসিত হচ্ছেন। তদন্তের গতিতে খুশি নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা। এই আবহে বাড়ছে সিবিআইয়ের সিটের অফিসারের সংখ্যা। কলকাতার সিবিআই দফতরে এবার পাঠানো হচ্ছে সাতজন দুঁদে অফিসারকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন এই অফিসাররা বলে খবর। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন এসপি, তিনজন ডিএসপি, দু’জন ইন্সস্পেক্টর, একজন সাব–ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। এখন এই খবর নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সাত তদন্তকারী অফিসারকে নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোথা থেকে আসছেন সিবিআই অফিসাররা? এই সাতজন দুঁদে অফিসার নয়াদিল্লি, বিশাখাপত্তনম, রাঁচি, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর এবং ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে আসছেন। বলা যেতে পারে, তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতি আনতেই এই সাত অফিসারকে নিজাম প্যালেসে পাঠানো হচ্ছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এই সাত অফিসারকে কলকাতার সিবিআই দফতরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’মাস এখানের তদন্তে তাঁরা গতি আনবেন। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এখনও কয়েকটি গ্রেফতার ছাড়া বিশেষ প্রমাণ জোগাড় করা যায়নি।
কেন হঠাৎ ভিন রাজ্যের অফিসার আসছেন? সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেস থেকে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে দৈনন্দিন নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। তাই এই বিশাল দুর্নীতির তদন্তে অফিসারের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই সিটের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট বারবার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তদন্তের গতি বাড়ানো নিয়ে ভর্ৎসনা করেছে। অফিসার বাড়লে সেটা হবে না বলেই মনে করছেন সিবিআই আইনজীবীরা।