শহর থেকে গ্রামবাংলা ফুটছে গরমে। প্রবল তাপদাহে ভরসা বলতে ‘একটু জল’। পানীয় জল ছাড়া আর যেন কিছুই ভাল লাগছে না। আর এই জলই এখন অপচয় হচ্ছে খাস কলকাতায় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ পেয়ে তেতে উঠেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কারণ কোনওভাবেই এই জল অপচয় ঠেকানো যাচ্ছে না। এটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন কলকাতার বাসিন্দারা বলে অভিযোগ। এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মবানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন ছিল গতকাল। সেখানে পানীয় জলের অপচয় নিয়ে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে প্রশ্ন করেন। এই তীব্র গরমে পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নিজের মতামত দেন মেয়র। তখনই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
যে পানীয় জলের জন্য কলকাতা পুরসভা এত ব্যবস্থা করেছে সেই জল অপচয় হচ্ছে শুনে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি মেয়র। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘জলের চাহিদা বাড়ছে বলে সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। আর এই প্রচণ্ড গরমে জলস্তর নেমে যায়। সেখানে জলের অপচয় করা ঠিক নয়। মাথাপিছু ১৫০ লিটার জল খরচ এখন গরমের জন্য বেড়েছে। পানীয় জলের অপচয় ঠেকাতে পুরসভা থেকে উত্তর কলকাতায় ১ থেকে ৬টা ওয়ার্ডে ওয়াটার মিটার বসানো হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি–সহ ৫ ওয়ার্ডে ওয়াটার মিটার ইনস্টল রয়েছে। সেই মিটার চুরি এবং ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ আসছে।’ আর জলের অপচয় বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে উদ্যোগ, থানায় ঢুকে পুলিশকে ‘ধমক’ অগ্নিমিত্রার
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এই ক্ষোভ শুনে পানীয় জল সরবরাহ দফতরের অফিসার কিছু কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘গরমে পানীয় জলের চাহিদা বাড়ে। তাই সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়। এখন শহরে ৫১৫ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবরাহ করা হচ্ছে। তীব্র গরমে মাটির নীচে জলস্তর নেমে যায়। কিন্তু সরবরাহ বাড়ানো হয়। এবার তো পানীয় জলের সরবরাহ তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। সেখানে জলের অপচয় উচিত নয়।’ ভরা সভায় এই কথা শুনে সকলে হতবাক। কারণ কলকাতা পুরসভা মানুষের মুখে পানীয় জল তুলে দিতে জোগান বাড়াচ্ছে। আর তা অপচয় করছেন কিছু মানুষ! অবিলম্বে তা ঠেকানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।