কলকাতা শহরের মাঝেই পুলিশ ভ্যান থেকে তোলাবাজি! হাওড়া ব্রিজ এলাকায় রাতের পেট্রোলিংয়ের সময় দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ওঠে টাকা আদায়ের অভিযোগ। সঙ্গে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। ঘটনার খবর পৌঁছতেই কড়া ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। অভিযুক্ত এক এএসআই এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর সিভিক ভলান্টিয়ারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ, যা তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে পিসিআর ভ্যান নিয়ে হাওড়া ব্রিজে ছিলেন ওই তিনজন। অভিযোগ, তারা গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে তোলাবাজি করছিলেন। বিষয়টি নজরে আসে সেই সময় রাস্তায় টহল দেওয়া অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের। এরপর তা দ্রুত জানানো হয় সিনিয়র অফিসারদের।লালবাজারে অভিযোগ পৌঁছতেই শুরু হয় তদন্ত। সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ভিডিয়ো খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায়, এক পুলিশ কর্মী গাড়ি থামিয়ে কথা বলার অজুহাতে চালকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।
কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। আগেই লালবাজার থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, যদি কেউ এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত মাসেই পুণেতে এক যুগলের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন দুই পুলিশ কনস্টেবল। প্রেমিক-প্রেমিকা রাস্তায় গাড়িতে বসে থাকার কারণে তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ ছিল।
এদিকে কলকাতাতেই কিছুদিন আগে আরও একটি ঘটনায় গ্রেফতার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দুই আধিকারিক। অভিযোগ, তাঁরা এক ট্যাক্সি চালককে ভয় দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ওই চালকের কাছ থেকে প্রায় ১.৯৫ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। পরে চালক কড়েয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় দুই পুলিশকর্মীকে।এই সমস্ত ঘটনা পুলিশের ভাবমূর্তি যে ক্ষুণ্ণ করছে, তা মেনে নিচ্ছেন খোদ পুলিশ আধিকারিকরাও। তবে পাশাপাশি এটাও বলছেন, যাঁরা দোষ করছেন, তাঁদের কোনওরকম রেয়াত করা হবে না।