অনেকদিন আগেই প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ বলেছিল, ঋষভ পন্ত যখন ব্যাটিং করেন তখন দুই দলের ক্রিকেটাররাই চিন্তায় থাকেন। কারণ প্রতিপক্ষ দল চিন্তায় থাকে পন্ত এরপর কখন কোন বলে কোন দিকে শট মারবেন সেই নিয়ে। আর পন্তের নিজের দল চিন্তায় থাকে, তিনি শট খেলতে গিয়ে আউট না হয়ে যান। এমনই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে থাকেন ভারতীয় দলের এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এবার ঋষভ পন্তের ভয়ডরহীন ব্যাটিং নিয়ে মন থেকে কথা বললেন দঃ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্স। লিডসে ঋষভ পন্ত টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই ইনিংসেই শতরানের নজির গড়েন। একইসঙ্গে গোটা ম্যাচেই যখনই তিনি ব্যাটিং করেছেন, মাঠের দর্শকদেরও উপভোগ করিয়েছেন মজাদার শট খেলে। নিজের শতরানের পথে তিনি মাঝে মধ্যে এমন ঝুঁকি নিয়েছেন, যা শতরানের কাছাকাছি গেলে অনেক ক্রিকেটারই নিতে ভয় পায়।
ডিভিলিয়ার্স জানাচ্ছিলেন, তিনি পন্তের খেলায় খুব ভালোভাবে দেখেছেন, এবং তাঁর মনে হয়েছে দুই ইনিংসেই ৩০ রানের আগে পন্ত বোধহয় ২০বার আউট হতে পারত। কিন্তু তবুও ভয় না পেয়ে, নিজের আগ্রাসী ক্রিকেট স্টাইলই তিনি বজায় রেখেছেন এবং সাফল্য পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রান করেন ঋষভ। সম্প্রতি ভারতের টেস্ট সহ অধিনায়ক হওয়া পন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে পরপর উইকেট পড়ছে দেখে নিজেকে সামলে রেখে ব্যাটিং করছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের লাঞ্চের পর পুরো ফিফথ গিয়ে ব্যাটিং করা শুরু করে দেন।
যা দেখেই ডিভিলিয়ার্স বলছেন, ‘ও অনেক ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করে। কখনও কখনও সেই স্টাইল তোমায় চিন্তায় ফেলে দেবে। আমার তো মনে হয়েছে ও ২০বার প্রথম ৩০ রানের মধ্যে আউট হতে পারত, দুই ইনিংসে। কিন্তু ও আউট হয়নি, সেটাই সব থেকে বড় কথা। ও এমন একজন প্লেয়ার যে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে, আর ১০০ বারের মধ্যে ৯৯বারই ও সেটা করতে পারে, তাই ও সফল ক্রিকেটার। একটা সময় আমি সোফায় বসে ভাবছিলাম, যে ঋষভ এটা কি করছে? এখন এই সব শট খেলার সময় নয়। কিন্তু তুমি ফলাফল দেখ, ওটাই শেষ কথা বলে। এটা অত্যন্ত লজ্জার যে ভারত ম্যাচটা জিততে পারেনি, পন্তেরই কিন্তু তাহলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার কথা। এই হারের ফলে অনেক প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ করে। অনেক মিডিয়ায় অনেক সমালোচনা হবে, যে একটা পরিবর্তন দরকার। তবে আমার মনে হয়নি এখনই চিন্তার কিছু রয়েছে, এটা পাঁচ ম্যাচের দীর্ঘ সিরিজ, এখনও অনেকটা পথ বাকি ’।