প্রায় ১ বছর হতে চলেছে গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের কোচের পদে এসেছেন। টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে তিনি বসার পর থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাদ দিলে অধিকাংশ সিরিজেই তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শ্রীলঙ্কায় ওডিআই সিরিজ হেরেছেন, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে ভারতের। ইংল্যান্ডেও অবস্থা খুব একটা ভালো নয় টিম ইন্ডিয়ার।
আইপিএলে কেকেআরকে গতবার চ্যাম্পিয়ন করার পর জুলাইয়ের ৯ তারিখ ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে সরকারিভাবে নাম প্রকাশ হয় গৌতম গম্ভীরের। এরপর টেস্টে ভারতীয় দলের অবস্থা একেবারে করুণ। মাত্র ৩টি টেস্টে টিম ইন্ডিয়া জিতেছে শেষ ১১টার মধ্যে। এই পারফরমেন্সই বিরক্ত করে দিয়েছে ক্রিকেটভক্তদের। অনেকেই চাইছেন, টেস্ট দলের দায়িত্ব লক্ষ্মণের মতো কারোর হাতে দিয়ে ওডিআই এবং টি২০ ফরম্যাটে গৌতিকে কোচ রাখা হোক।
যদিও বিসিসিসআই কখনই কোচিং বা ক্যাপ্টেন্সিতে আলাদা আলাদা ফরম্যাটে আলাদা আলাদা কোচ রাখার পক্ষপাতি নন। সূর্যকুমার যাদব, রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল, ভারতের তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকলেও বিসিসিআই কোচ হিসেবে একজনের ওপরই ভরসা রাখছেন।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা ইনসাইড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই মূহূর্তে গম্ভীর একটা তরুণ দলকে নিয়ে ভালোই কাজ করছে। এটা তো ট্রানজিশন পিরিয়ড, তাই এই সময় ইচ্ছা মতো ফল পাওয়া যায় না। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডও তাঁদের ট্রানজিশন পর্যায়ের সময় ব্যর্থ হয়েছিল। তাই এখনই গম্ভীরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক হবে না। এখনও আমাদের হাতে চারটি ম্যাচ রয়েছে ইংল্যান্ডে, আমরা আশা করব যে ভারতীয় দল ঘুরে দাড়াবে। আর তারপরেও বলতে পারে, বোর্ডের পূর্ণ আস্থা রয়েছে গৌতম গম্ভীরের ওপর ’।
গম্ভীরের সামনে এখনও বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। ইংল্যান্ড সিরিজের পর ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এদেশে সিরিজ খেলবে। এরপর দঃ আফ্রিকাও আসবে ভারতে। তারপর আবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। ফলে গৌতির কিন্তু সামনে বেশ কয়েকটা পরীক্ষা রয়েছে।