লিডস টেস্টে ভারতীয় দলের ওপেনার লোকেশ রাহুল দুরন্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে শুরুটা ভালো করলেও তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই যশস্বী জসওয়াল আউট হয়ে যাওয়ার পর রাহুল একাই কার্যত দায়িত্ব নিয়ে নেন ভারতের একটা এন্ড ধরে রাখার। অর্থাৎ অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে তিনি ইনিংসকে বিল্ড আপ করতে থাকেন। মেঘলা পরিবেশেও তিনি ইংরেজ বোলারদের কোনও সুযোগ না দিয়ে অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে খেলতে থাকেন। সেই সুবাদেই ভারতীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোরে পৌঁছয়, অবশ্য ভারতের সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্তও দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেন।
চতুর্থ দিনের লাঞ্চের ঠিক পরেই বেন স্টোকসের বোলিংয়ে চোট পান কেএল রাহুল। বল গিয়ে সরাসরি লাগে তাঁর দুপায়ের মাঝখানে। ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলটি ব্যাক ফুটে এসে খেলতে গিয়েই রাহুল আহত হন এবং মাটিতে বসে পড়েন। বেশ ভালোই ব্যথা যে তিনি পেয়েছেন তা বোঝাই যাচ্ছিল। যদিও বোলার বেন স্টোকস তাঁর কাছে গিয়ে একবার জিজ্ঞাসা করার ভদ্রতাও দেখাননি, যে রাহুল ঠিক আছেন কিনা। বেশ কিছুক্ষণ সময় নেওয়ার পর অবশেষে রাহুল উঠে দাঁড়ান।
পরের বলটিও বেশ সাবধানে রাহুল খেলে, ছেড়ে দেন উইকেটকিপারের জন্য। এরপর ওভার শেষ হতেই রাহুল আবারও হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মাটিতে এবং কিছু স্ট্রেচিং করেন। তখনই স্টোকস গিয়ে রাহুলকে কিছু একটা বলেন। প্রসঙ্গত ৫৮ রানের মাথায় হ্যারি ব্রুক রাহুলের ক্যাচ মিস করায় তিনি একটি জীবনদান পান।
রাহুলের পারফরমেন্স দেখে বেশি খুশি ছিলেন ইংরেজদের প্রাক্তন তারকা পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। যদিও বেন স্টোকসও যেভাবে ফিল্ডিং সেট করেছিলেন রাহুলের জন্য, তাও বেশ নজর কেড়েছে ব্রডের। ইংরেজ তারকা ধারাভাষ্য দিতে দিতে বলছিলেন, ‘লোকেশ রাহুল বেশ ভালোই ড্রাইভ করছে, তবে কাল স্টোকস যেভাবে ফিল্ডিং সেট করেছিল, মিড অফ খোলা রেখে, সেটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। ও একজন স্কোয়ার এক্সট্রা কভার রেখে রাহুলকে সামনের দিকে মারতে বাধ্য করছিল। ইংল্যান্ডও ওকে শর্ট বল করতে পারে, যেমন জেমি স্মিথকে ভারতীয়রা করেছিল ’।