মুম্বই পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম বাবান বিশ্বনাথ শিন্ডে। উত্তরপ্রদেশের মথুরা বৃন্দাবনের কাছে কৃষ্ণগোপাল মন্দিরের একটা ঘর থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ।
আর সেই ব্যক্তিই একেবারে সাধু সেজে লুকিয়ে ছিলেন বৃন্দাবনে। বৃন্দাবন আর মথুরা পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে যৌথ অভিযান চালায়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বাবন শিন্ডে নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। সে গা ঢাকা দিয়েছিল বৃন্দাবনে। একেবারে সাধুর বেশ ধার করেছিল। ভেবেছিল তাকে কেউ চিনতে পারবে না। মন্দিরের কাছের একটি ঘরে সে লুকিয়ে ছিল। এদিকে পুলিশ অভিযানে নেমে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে মন্দিরের কাছের একটি ঘরে সে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মথুরা সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ অরবিন্দ কুমার জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। সে সাধু সেজে বৃন্দাবনে লুকিয়ে ছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে।
বাবন আসলে বিড জেলার বাসিন্দা। একটি ব্যাঙ্কের ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে সে গা ঢাকা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অন্তত ৫টি মামলা ছিল। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাবনকে খুঁজছিল। অবশেষে পুলিশ তার সন্ধান পায়। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় সে সাধুর ছদ্মবেশ নিয়েছে।
এরপর গত ২৪শে সেপ্টেম্বর পুলিশ বাবন শিন্ডেকে গ্রেফতার করে। শিন্ডে ছিল ওই প্রতারণার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ তদন্তকে আরও দ্রুত গতিতে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
মহারাষ্ট্রের ক্রামই ব্রাঞ্চ থেকে পুলিশের কাছে বাবনের সম্পর্কে খোঁজ আসে। এরপরই বৃন্দাবন পুলিশ ও শিবাজি নগর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। মহারাষ্ট্র পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে।