২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। এহেন ইউনুস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাইনিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, শেখ হাসিনার বিচার হবেই। ইউনুসের কথায়, 'হাসিনার বিরুদ্ধে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। যদিও সে এখন বাংলাদেশে নেই, প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি তাকে বাংলাদেশে আনতে পারব কি না। সেটা নির্ভর করছে ভারত ও আন্তর্জাতিক আইনের ওপর। আমরা ইতিমধ্যেই ভারতকে বলেছি তাঁকে ফেরত পাঠাতে।' ইউনুস বলেন, 'হাসিনা ফেরত পেতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানানো হলেও কোনও আনুষ্ঠানিক জবাব পাওয়া যায়নি। আশা করব তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটা একটি আইনি বিষয়। আইনগতভাবে তাকে যদি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, আন্তর্জাতিক আইন তাদের (ভারত) নির্দেশনা দেবে।' (আরও পড়ুন: 'শুল্ক যুদ্ধ হোক বা অন্য কোনও যুদ্ধ, আমরা প্রস্তুত', ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি চিনের)
আরও পড়ুন: ইউনুসের ওপর আরও চটে যাওয়ার 'নতুন কারণ' পেলেন ট্রাম্প? ঢাকা বলছে...
উল্লেখ্য, মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার এবং প্রাক্তন আওয়ামি লিগ নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাসিনা বিরোধী জনতা। এরই সঙ্গে বাংলাদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়ি বা সম্পত্তিতে হামলা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। (আরও পড়ুন: কানাডা দখল করতে ছক কষছেন ট্রাম্প, 'শুল্ক যুদ্ধের' আবহে বড় দাবি ট্রুডোর)
বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
অপরদিকে গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা।