জঙ্গলের মাঝে পড়ে আছে মা ও তাঁর চার ছানার নিথর দেহ। যে কাউকে রীতিমতো বিপর্যস্ত করবে এই দৃশ্য। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলার এমএম হিলস বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে এভাবেই উদ্ধার করা হয়েছে চারটি বাঘকে। যার মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক ও বাকিগুলি শিশু। একসঙ্গে পাঁচটি বাঘের আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক সংরক্ষণবিদরাও। খাদ্যে বিষক্রিয়া করা হয়েছে বলে প্রাথমিক সন্দেহ বিশেষজ্ঞমহলের। এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন ওই রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী ঈশ্বর বি. খান্দ্রে। তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট।
কী কারণে মৃত্যু ৫ বাঘের?
ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা এখনও জানা না গেলেও অভয়ারণ্যের কর্মকতাদের প্রাথমিক অনুমান, বাঘগুলির খাবারে বিষক্রিয়া করা হয়েছিল। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাঘটি একটি গরু মেরে জঙ্গলের ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। আংশিকভাবে সেই গরু খেয়েও ফেলে বাঘটি। পরে বাকি মৃতদেহটি টেনে নিয়ে যেতে ফিরে এসেছিল সে। অনুমান করা হচ্ছে, তার মধ্যেই স্থানীয় গ্রামবাসী গরুর মৃত শরীরে বিষ প্রয়োগ করে থাকতে পারে। যার ফলে বিষাক্ত মাংস খেয়ে বাঘ এবং তার শাবকগুলি মারা গিয়েছে। এমএম হিলসের অভয়ারণ্যের হুগিয়াম রেঞ্জার মিনিয়ামের কাছে পাওয়া গিয়েছে এই পাঁচটি বাঘের মৃতদেহ।
আরও পড়ুন - প্রতি ১২ বছর অন্তর কী হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে? কেন আজও রহস্যে ঘেরা এই আচার
ময়না তদন্ত রিপোর্টে…
চামরাজনগর সার্কেলের প্রধান বন সংরক্ষক টি. হীরালাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি বিষক্রিয়ার ঘটনা। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে, এটি অবশ্যই অস্বাভাবিক মৃত্যু।’ অন্যদিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পরিবেশমন্ত্রী ঈশ্বর বি খান্দ্রে বলেন, ‘দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন - ভারতের ৫ রহস্যময় এবং ভয়ঙ্কর মন্দির, প্রতিটির সঙ্গে জড়িয়ে গা ছমছমে কাহিনি
কী বললেন পরিবেশ মন্ত্রী?
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কর্ণাটকে বাঘের সংখ্যা ৫৬৩টি। সংখ্যার দিক থেকে ভারতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই রাজ্য। সেই কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘বাঘ সংরক্ষণে সাফল্যের জন্য পরিচিত একটি রাজ্যে একদিনে পাঁচটি বাঘের মৃত্যু গভীরভাবে বেদনাদায়ক’।