পাকিস্তানের গদিতে ইমরান খানের ভবিষ্যত্ কী হতে চলেছে? এই প্রশ্নের জবাব প্রায় গোটা দুনিয়ে জেনে গিয়েছে। নিদের দলেরই সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিতে চলেছেন। এই আবহে পাকিস্তানের জনগণের মুখাপেক্ষি হয়েছেন ইমরান খান। নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মানচিত্র বদল করার শেষ চেষ্টা করতে চলেছেন ইমরান খান। উল্লেখ্য, শুক্রবার পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থ প্রস্তাব পেশ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এই আবহে আজ ইসলামাবাদের প্যারেড গ্রাউন্ডে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ রাখবেন ইমরান খান।
সমর্থকদের উদ্দেশে এদিন ইমরান খান ভোর বেলায় এক বার্তায় বলেন, ‘আমি সকল পাকিস্তানিকে এক বার্তা দিতে চাই। আজ আমাদের যেই জলসা (সমাবেশ) হচ্ছে পাকিস্তানের জন্য। এই লড়াই তেহরিক-ই-ইনসফারে নয়। এই লড়াই পাকিস্তানের জন্য। এটা পাকিস্তানের ভবিষ্যতের লড়াই। আপনারা যাঁরা যাঁরা আসছেন তাঁদের আমি একটি বার্তা দিতে চাই যে যলদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কারণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছে। আসতে বাধা দেওয়া হবে। আর আমার ভয় যে আপনারা হয়ত জলসায় সময় মতো এসে পৌঁছতে পারবেন না।’
এদিকে এক রিপোর্ট অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাবের আগে ইমরানের দলের ৫০ জন মন্ত্রীকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জনসমক্ষে দেখা যায়নি। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ও প্রদেশ স্তরের সরকারে থাকা মন্ত্রী এবং পরামর্শদাতাদের সম্প্রতি দেখা যায়নি জনসমক্ষে। এদিকে পাক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ন্যাশনার অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থ প্রস্তাব পেশ হলে ইমরানের দলের বেশ কয়েকজন সদস্য তাঁ সরকারের বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন। উল্লেখ্য, উল্লেখ্য ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক নম্বর হল ১৭২। পিটিআই-এর সদস্য সংখ্যা ১৫৫। বাকি মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭৯। তবে নিজের দলেরই অ্যাসেম্বলি সদস্যদের শিবির বদলে শেষ পর্যন্ত ইমরানের গদি টিকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।