একেবারে আস্ত একটা ট্রেনই হাইজ্য়াক করে নিয়েছে জঙ্গিরা। একেবারে হাড়হিম ঘটনা হয়েছে পাকিস্তানে। এরপর সেই ট্রেনের যাত্রীদের একাংশকে পণবন্দি করে ফেলে জঙ্গিরা। এমনকী পাক সেনা যদি অভিযান চালাতে থাকে তবে সকলকে খতম করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জঙ্গিরা।
জাফর এক্সপ্রেসকে হাইজ্যাক করা হয়েছে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে ট্রেন চালক আহত হয়েছেন।
কী হয়েছে ঘটনাটি?
৯টা বগি রয়েছে ট্রেনে। বালুচিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় ট্রেনটিকে হাইজ্যাক করা হয়। রেললাইনে বিস্ফোরক রেখে এই ট্রেন হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে খবর।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বিএলএর বিবৃতি অনুসারে জানা গিয়েছে, যাদের পণবন্দি করা হয়েছে তাদের মধ্য়ে পাকিস্তানি সেনা, পুলিশ, অ্যান্টি টেররিজম ফোর্স ও ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স রয়েছে। তারা সকলেই ছুটিতে পাঞ্জাব প্রদেশে যাচ্ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বিএলএর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যদি পাক সেনা অভিযান চালাতে থাকে তবে সমস্ত পণবন্দিদের খতম করা হবে।
সেই সঙ্গে তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যোদ্ধারা মহিলা, শিশু, বালোচ যাত্রীদের ছেড়ে দিচ্ছে। কেবলমাত্র বিভিন্ন এজেন্সিতে যারা কর্মরত তাদের পণবন্দি রাখা হচ্ছে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
এদিকে বালোচিস্তান সরকার গোটা পরিস্থিতিতে জরুরীকালীন পরিস্থিতি হিসাবে উল্লেখ করছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বালোচিস্তানে নানা ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপ হয়। মূলত সরকারি এজেন্সি, সেনার বিরুদ্ধে তারা জঙ্গি কার্যকলাপ চালায়।এমনকী এই জঙ্গি গোষ্ঠী প্রদেশের গ্য়াস ও প্রাকৃতিক সম্পদের একটা বড় ভাগ চায়। এমনকী বালোচিস্তানের স্বাধীনতার দাবিও তাদের রয়েছে। তবে এভাবে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে বিমান হাইজ্যাকের কথা শোনা যেত। এবার একেবারে রেললাইনে বিস্ফোরক রেখে ট্রেন হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছে, তাদের বিশেষ ইউনিট এই হাইজ্যাকের পেছনে রয়েছে। মাজিদ ব্রিগেড রয়েছে এই হাইজ্যাকের পেছনে। এসটিওএস ও ফাতেহ ব্রিগেডও রয়েছে। যদি পাক সেনা হস্তক্ষেপ করে তবে পালটা আঘাত হানা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে সেনা হস্তক্ষেপ করলে বিরাট জবাব দেওয়া হবে। এদিকে পাক সেনা সহ অন্তত শতাধিক যাত্রীকে পণবন্দি করা হয়েছে বলে খবর।
তবে অনেকের মতে যারা ট্রেন হাইজ্যাক করেছে তারা বালোচ লিবারেশন আর্মি বলেই পরিচিত। অর্থাৎ বিদ্রোহী তারা। নির্দিষ্ট দাবির ভিত্তিতে তারা বিদ্রোহী যোদ্ধা বলে পরিচিত।