ভারতের হয়ে প্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথম পদক জিতেছেন মনু ভাকের। দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন শ্যুটিংয়ে। হয়ত সোনা জেতেননি, কিন্তু হরিয়ানার কন্যা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন দেশের কাছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই যদি দেখা যায় হরিয়ানার ছেলে- মেয়েরা ভারতের নাম বিশ্বক্ষেত্রে উজ্জ্বল করে আসছেন। ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে যখন ভারতের পুরুষরা ব্যর্থ হয়েছিলেন তখনই দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন সাক্ষী মালিক। ২০২০ অলিম্পিক্সে ভারতকে প্রথমবার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে সোনা এনে দেন ভারতের নীজর চোপড়া। এবার ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সেও ভারতবাসীর মুখে হাসি ফোটালেন সেই হরিয়ানারই ২২ বছর বয়সী মনু ভাকের। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে স্বরণাপন্ন হয়েছেন গিতার, জীবনে কতটা গুরুত্ব তার? পদক জয়ের পর জানালেন নিজেই।
আরও পড়ুন-কলকাতায় চলে এলেন মোহনবাগান কোচ মোলিনা! প্রথম দিনই আঁচ করলেন বাগানে কোচিংয়ের চাপ!
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ভগবত গিতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বহু মানুষকেই শক্তি, সৎতা এবং একনিষ্ঠতার পথ দেখায় ভগবত গিতা। এর থেকে বাদ যাননি ভারতকে প্য়ারিস অলিম্পিক্সে পদক এনে দেওয়া মনু ভাকেরও। দেশের হয়ে পদক জয়ের পর হরিয়ানার মেয়ে সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন ভগবত গিতাকেই। অলিম্পিক্সের পদক গলায় ঝুলিয়েই তাঁর জীবনে ভগবত গিতার অবদান সম্পর্কে মনু ভাকের বলেছেন, ‘আমি কঠিন পরিস্থিতিতেও মোটেই ভয়ে ছিলাম না। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের দেওয়া অর্জুনকে সেই বাণীর কথা সকলেই জানো, কর্ম করে যাও, ফলের আশা করো না। আমিও সেটাই করতে চেয়েছিলাম, নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম ’।
প্যারিসে পদক জয়ের পর মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের ভিড় এবং তাঁর সাক্ষাৎকারের চাহিদা দেখে মনু ভাকেরের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘ওরে বাবা এত ফোন! বাহ, যে কোনও একটা নিতে পারি তাহলে ’। এরপর কোচ জসপাল রানার প্রশংসা করেই মনু বলেন, ‘জসপাল স্যার একজন স্পেশাল মানুষ। আমার প্রস্তুতির সময় এমন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করত, যে এখানে এসে কাজটা অনেকটা সহজ লেগেছিল। ওনার কোচিং পদ্ধতি একদম আলাদা। আমার টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর দিকে নজর দিত। আমায় অনেক কঠিন টার্গেট দিত, সেই টার্গেট পূরণ করতে ব্যর্থ হলে আমায় জরিমানা দিতে হত। কখনও ৪০ ইউরো আবার কখনও ৪০০ ইউরো। ’।
আরও পড়ুন-কুশল পেরেরার উইকেট নিতেই সুপার কুল সেলিব্রেশন হার্দিকের! জবাব দিতে চাইলেন কাউকে!
মাত্র ২২ বছর বয়সেই অলিম্পিক্স পদক। নাম তুলে ফেলেছেন অভিনব বিন্দ্রা, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরদের পাশে। কেমন অনুভূতি? মনু ভাকের বলছেন, ‘এই আনন্দ অনাবিল। ০.১ পয়েন্টের জন্য রৌপ্য পদক পাইনি, তবে এই সাফল্যের আনন্দ বিশ্বের সব কিছুর উর্ধ্বে। এই পদকের স্বপ্ন আমি গত কয়েক বছর ধরেই দেখেছি। গোটা দেশের সকলকে যারা আমার পাশে ছিল, তাঁদের এই পদক উৎসর্গ করতে চাই ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।