নিজের প্রথম বিবাহিত জীবনের কথা গোপন রেখে এক তরুণীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আবার একজন তৃণমূল নেতা। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও অভিযোগ, বিয়ের পরে সত্যি জানতে পেরে প্রতিবাদ শুরু করেন ওই তরুণী। শুধু তাই নয়, স্বামীর দুর্নীতির বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। আর তাতেই চটে যান তৃণমূল নেতা। এরপর শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন, হুমকি-ধমকি। এমনকি খুনের চেষ্টার অভিযোগও এনেছেন ওই তরুণী। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের। (আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের আবহে এবার 'ছোট ঘটনা' বিতর্কে মমতার মন্ত্রী মানস)
আরও পড়ুন: ‘র’ এজেন্ট সেজে বিয়ের প্রতিশ্রুতি, সহবাস, প্রতারণার অভিযোগে থানায় শিক্ষিকা
এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। কারণ, অভিযুক্ত সুব্রত সরকার শান্তিপুর ব্লক-এর তৃণমূল ব্লক সভাপতি। ইতিমধ্যেই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, ২০২৪ সালের ২৩ মে তাঁকে বিয়ে করেন সুব্রত। তখনও তিনি জানতেন না, সুব্রতবাবু বিবাহিত এবং সন্তানের বাবা। পরে এসব জানতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, দলের এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে সুব্রতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও জানতে পারেন বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তে নয়া মোড়, আরও ৪ জনের ওপর নজর পুলিশের)
তরুণীর অভিযোগ, সত্যি সামনে আসতেই তাঁর ওপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নিগ্রহ। একাধিকবার খুন এবং অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি সম্প্রতি তাঁদের দাম্পত্য জীবনের ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন সুব্রত। এমনটাই দাবি নির্যাতিতার। তাঁর কথায়, ‘একবার আমাকে খুনের চেষ্টাও করা হয়েছে। অনেক কিছু সহ্য করেছি। কিন্তু এখন ভয় পেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।’ (আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ফের ধর্ষণের জন্যে ভিডিয়ো করতে বলা হয়, কসবা কাণ্ডে 'দাদার কীর্তি' ফাঁস)
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। রানাঘাটের এসডিপিও সবিতা গটিয়াল জানিয়েছেন, একটি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুব্রত সরকার। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এসব পুরোপুরি মিথ্যে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, সুব্রত দলের ব্লক সভাপতি, সেটা ঠিক। কিন্তু এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। দল কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে না। অন্যদিকে বিজেপির শান্তিপুরের নেতৃত্ব কড়া আক্রমণ করে জানায়, কসবায় ধর্ষণ, এখানে নারী নির্যাতন এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলারা কতটা সুরক্ষিত, তা সারা দেশ দেখছে।