প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর সোমবার আবার চালু হল জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। প্রথম দিনেই এখানে আনা হয় ১,০৫,০০০ কেজি চা, যার মধ্যে ৪৫,০০০ কেজি চা তোলা হয় অনলাইনে নিলামে। প্রতি কেজির দাম ছিল ১১৪ টাকা থেকে শুরু করে ২২৭ টাকা পর্যন্ত। এই উদ্যোগ উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে এক নতুন সম্ভাবনার দিক দেখাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। (আরও পড়ুন: বিশ্ব ট্যাঙ্ক পাওয়ারে ভারতের থেকে পিছিয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে কত নম্বরে?)
আরও পড়ুন: চা বাগানে এসব কী! ভিডিয়ো দেখালেন শুভেন্দু, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার…’
এদিন পুনরায় চালুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ কুমার বর্মা এবং চা বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিকরা। রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও তাঁদের একই মঞ্চে দেখতে পাওয়াটা ছিল এক বিরল দৃশ্য। চা নিলাম টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান সঞ্জয় ধানুতে বলেন, উত্তরবঙ্গ এবং কলকাতা দুই জায়গা থেকেই ক্রেতারা নিলামে অংশগ্রহণ করেছেন। এক দশক পর কেন্দ্র চালু হওয়া একটি ইতিবাচক লক্ষণ। এই নিলাম চলবে ১১ দিন ধরে। নিলাম কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পুরজিত বক্সীগুপ্ত জানান, যারা সাত দিনের মধ্যে দাম মিটিয়ে দেবেন, তাঁরা ২ শতাংশ ছাড় পাবেন। তাঁর কথায়, প্রাথমিক সাড়া অত্যন্ত আশাজনক। এটা ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো জাগায়। (আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের আবহে এবার 'ছোট ঘটনা' বিতর্কে মমতার মন্ত্রী মানস)
আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তে নয়া মোড়, আরও ৪ জনের ওপর নজর পুলিশের
স্থানীয় চা উৎপাদকদের জন্য এই কেন্দ্রের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ বছরে ২৯ কোটি কেজি চা উৎপাদন করে, যার বড় অংশ পাতা কেনার কারখানা থেকে আসে। এর কিছুটা যদি এখানেই বিক্রি হয়, তাহলে এই কেন্দ্র আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। চা বোর্ডের শিলিগুড়ি অফিসের উপ-পরিচালক কমলচন্দ্র বৈশ্য জানান, উত্তরবঙ্গে বছরে ৪৩ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়, কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১৩ কোটি কেজি নিলামে তোলা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। (আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ফের ধর্ষণের জন্যে ভিডিয়ো করতে বলা হয়, কসবা কাণ্ডে 'দাদার কীর্তি' ফাঁস)
অনুষ্ঠান শেষ হয় রবীন্দ্র সংগীতের মধ্য দিয়ে। সাংসদ জয়ন্ত রায় গান গেয়ে শোনান, আর বিধায়ক পরিবেশন করেন এক রবীন্দ্রসঙ্গীত। বক্তব্যে জয়ন্ত রায় বলেন, বছরের পর বছর জলপাইগুড়ির চা শিল্পের অবনতি দেখে এসেছেন। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে জেলার অগ্রগতির জন্য কাজ করতে হবে। বিধায়ক প্রদীপ বর্মাও বলেন, রাজনীতির বাইরে সাংসদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। মতাদর্শ আলাদা হলেও উন্নয়নের প্রশ্নে সকলেই একজোট।