সম্ভবত মধ্যমগ্রাম স্টেশন লাগোয়া বীরেশ পল্লিতে খুন হয়েছেন কলকাতার কুমারটুলি ঘাটে ট্রলিব্যাগে উদ্ধার মহিলা। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ বীরেশ পল্লির বাসন্তী মন্দির এলাকার ওই ভাড়াবাড়িতে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বারাসতের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে পিসি শাশুড়িতে খুন করেছেন অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ।
পড়তে থাকুন - বচসা চলাকালীনই ইট দিয়ে থেঁতলে খুন, ট্রলিব্যাগে মহিলার দেহ উদ্ধারে জেরায় কবুল
আরও পড়ুন - ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ লাভলিকে TMC পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরাল প্রশাসন
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বীরেশ পল্লিতে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বছর চল্লিশের ফাল্গুনী ও তাঁর মা আরতি। তবে মা ও মেয়ে কারও চাল চলনই ভালো ছিল না। অভিযোগ, আরতিদেবী চুরি - ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মা ও মেয়ের ভাড়াবাড়িতে অচেনা ছেলেদের নিত্য যাতায়াত লেগে থাকত। আরতিদেবী জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ও মেয়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল কারও বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলে তার পিসি শাশুড়ি এল কোথা থেকে?
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, গত রাতেও ওই বাড়ির ছাদ থেকে ময়লা ফেলতে দেখেছেন তাঁরা। সবে সকাল থেকে কাউকে দেখা যায়নি। গত পুজোর সময় ওই বাড়িতে চরম চিৎকার চ্যাঁচামেচি হয়। তার পরই বিষয়টি মধ্যমগ্রাম পুরসভার উপপ্রধানকে জানান স্থানীয়রা। উপপ্রধান জানিয়েছেন, আমি বাড়ির মালিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করি। পালটা তিনিই আমার সঙ্গে চোটপাট শুরু করে দেন।
আরও পড়ুন - ‘আন্দোলন না করার জন্য ডাক্তারদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে’, বেতন নিয়ে বেলাগাম দিলীপ
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, ফাল্গুনী ও আরতি কারও সঙ্গে মিশতেন না। তবে সম্প্রতি ওই বাড়িতে আরও ১ জন মহিলাকে দেখা গিয়েছিল। সেই মহিলাই খুন হওয়া সুমিতা ঘোষ কি না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।