অবশেষে দলের কাছে ক্ষমা চাইলেন মদন মিত্র। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মদন মিত্র। কসবাকাণ্ডকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন মদন। এরপরই এনিয়ে দলের অন্দরেই শোরগোল পড়ে যায়। এরপর দলের তরফ থেকে সুব্রত বক্সী তাঁকে শোকজ করেন। তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই আর দেরি করেননি মদন মিত্র।
তবে মদন মিত্রের এই দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি, ক্ষমা চেয়ে চিঠিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মদন মিত্র তাঁর চিঠির মাধ্যমে এটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে শিক্ষাঙ্গনও ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ নয়। তারপর চিঠি, পালটা চিঠি এসবের কোনও গুরুত্ব নেই।
সূত্রের খবর, মদন মিত্র চিঠি দিয়ে দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। রবিবার তাঁকে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে সোমবার রাতেই চিঠি দিয়ে দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মদন মিত্র। নিজের কথার জন্য সংক্ষিপ্ত চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন মদন মিত্র। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর কথায় দলের ভাবমূর্তি কোনওরকমভাবে ক্ষতি হলে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। সেকারণে তিনি নিঃশর্তে ক্ষমা চাইছেন।
এবার থেকে তিনি দলের অনুশাসন মেনে চলবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি দলের কাছে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে এক নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়।
এরপরই গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। আর তাঁর সেই মন্তব্য কার্যত ড্যামেজ কন্ট্রোল তো দূরের কথা তাঁর এই মন্তব্যের জেরে দলের অস্বস্তি বেড়েছিল অনেকটাই। তারপরই দলের তরফে এনিয়ে শোকজ করা হয়েছিল। আর তারপরই ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির কাছে চিঠি দিলেন মদন মিত্র। তবে সেই চিঠিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বরং তাঁদের দাবি, আসল ছবিটা সামনে এনেছেন মদন মিত্র।