ভারতীয় দল জিতলে নিঃসন্দেহে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় গৌতম গম্ভীরের স্টাইল। সকলেই কৃতিত্ব দিতে থাকেন ভারতীয় দলের কোচকে। কিন্তু হারলে যে তাঁর দিকেও আঙুল উঠবে, কিন্তু তখন আবার দোষ হয়ে যায় বাকিদের। এই যেমন বিরাট রোহিতরা থাকার সময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে কোচ, নির্বাচকরা জানিয়েছিলেন এটাই ভারতের সেরা দল। তাই সেরা স্কোয়াডই ইংল্যান্ডে যাচ্ছে।
কিন্তু প্রথম টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা লজ্জাজনক পারফরমেন্স করেছে ইংল্যান্ডে। তারপরই অজুহাত খোঁজা শুরু হয়ে গেল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। এক টেস্টে পাঁচটি শতরান করা দলকেও যে এভাবে হারতে হবে সেটাও বুঝতে পারেনি অনেকে। যেমন বাজে ক্যাপ্টেন্সি, পাল্লা দিয়ে তেমনই খারাপ বোলিং। তাতেই টিম ইন্ডিয়া একদমই পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
৩৭১ রানের টার্গেট ছিল ইংল্যান্ডের কাছে, কিন্তু ভারতীয় বোলার বা ক্যাপ্টেন কেউই ইংরেজদের ওপর তেমন চাপ তৈরি করতে পারল না। আগ্রাসী ফিল্ডিং সাজিয়ে ইংরেজদের চাপে ফেলতে পারতেন গিল, কিন্তু রান আটকাবেন না উইকেট নেবেন। সেটাই বুঝে উঠতে পারলেন না ভারতের নয়া টেস্ট অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে অবশ্য দলের বোলারদের অভিজ্ঞতার দিকেই আঙুল তুললেন গৌতম গম্ভীর। তিনি জানান, ‘এই পেস অ্যাটাকের একজন বোলার মাত্র ৪টি টেস্ট খেলেছে, হর্ষিত রানা দুটি টেস্টে খেলেছে। আরেকজন আর্শদীপ সিং, তিনি কোনও টেস্টেই এখনও খেলেনি। ওডিআইতে অভিজ্ঞতা এতটাও কাজে লাগে না, তবে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া কঠিন জায়গা। এখানে ওদেরকে পাঠানো মানে সমুদ্রের মাঝে ফেলে দেওয়া। তাই প্রত্যেক টেস্টের পরই যদি ওদের আমরা এভাবে মূল্যায়ন করি, তাহলে কীভাবে ওদের আমরা তৈরি করব’।
প্রথম ইনিংসে বুমরাহ পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রসিধ কৃষ্ণাও পাঁচ উইকেট নেন। ম্যাচ শেষে প্রসিধের পারফরমেন্স টেনেই দলের ব্যর্থতা ঢাকলেন গম্ভীর। তিনি বললেন, ‘আমরা যদি বুমরাহ আর সিরাজকে বাদ দি, তাহলে এই বোলিং লাইন আপে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু ওদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে, তাই ওদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রসিধ ম্য়াচে পাঁচ উইকেট পেয়েছে, ভালো টেস্ট বোলার হওয়ার সব মশলাই রয়েছে ওর মধ্যে ’।
শার্দুল ঠাকুরকে দলে নেওয়া হলেও গোটা ম্যাচে তিনি মাত্র ১৬ ওভার বোলিং করেছেন, যদিও গম্ভীর বলছেন এটা ছিল একটি ট্যাকটিকাল সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘কখনও কখনও পরিস্থিতিরপ ওপর নির্ভর করে অধিনায়ক বোলারদের বেছে নেয়। জাদেজা প্রথম ইনিংসে আমাদের বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল, যেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা তাই ওপর এন্ডে তিন পেসারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে পারতাম। আমরা জানি শার্দুলের কোয়ালিটি কি আছে, সেই জন্যই ও ভারতীয় দলে খেলছে। যেহেতু ও আমাদের চতুর্থ সিমার, তার মানে এই নয় যে ওকে স্পিনারদের আগে আমাদের খেলাতে হবে। ’